This is Ripon R. Rahman. A middle-class boy with lots of dreams. I try to complete all my dreams.
I will write here about myself, my life, all my experiences, my travel stories, and many more things.
Probably this blog will run my son/daughter after my death. I was born on Aug 02, 2002.
আজকে জীবনে প্রথমবারের মত কক্সবাজার যাচ্ছি। আমার ইচ্ছে ছিলো এনামুল আর রিদয় এর সাথে কক্সবাজার যাওয়া। কিন্তু ওদের কাজ পরে গেছে। সিচুয়েশন ভালো না ওদের তাই ওরা যেতে পারবে না। অনেকদিন অপেক্ষা করার পরে এই ডেট ঐ ডেট বার বার চেন্জ করার জন্য আজকে রাগে দুঃখে ওদেরকে ফেলেই আমি আর নাহিদ কক্সবাজার ঘুড়তে যাচ্ছি।
প্লান ছিলো সাজেক যাবো সবাই মিলে কিন্তু তা আর হলো না😪। সাজেকে মেবি বউ নিয়ে যাওয়া লাগবে😂। সাজেকে গেলে কম করেও ১০,০০০ টাকা খরচ হবে, আর আমার কাছে আছে ৪২০০ টাকা। কিন্তু সবাই মিলে যদি যাইতাম তাইলে এই টাকাতেই ঘুড়ে আসতে পারতাম সাজেক থেকে।
তো আগেরদিন রাতে প্লান করে আমি আর নাহিদ রাতে রওনা দিলাম। আমাদের এলাকার রেলওয়ে স্টেশন থেকে তিতাস ট্রেনে করে ভৈরব চলে গেলাম আর ভৈরব থেকে চট্টগ্রাম, চিটাগং মেইল ট্রেনে করে। আমি চিটাগং গেলে কেবিন ই নিই যাতে আরামে যাওয়া যায়। আমার তো সিগারেটের অভ্যাস নাই কিন্তু আজকে নাহিদ পুরো ১ প্যাক (২০টা) লাইকি স্টার সিগারেট নিয়ে নিছে রাতে খাওয়া হবে😂। এনামুল আমায় শিখাইছে কিভাবে সহজেই সিগারেট খাওয়া যায়।😑 যাইহোক, আমি যতই সিগারেট খাইনা কেন আমার কোনোদিন সিগারেটের অভ্যাস হবে না। আমি মানুষ ভালো না তবে আমার কোনো খারাপ অভ্যাস নাই টু বি অনেস্ট।😂 আমার কেনো জানি মনে হয় এটা পুরোটাই টাকা নষ্ট আর শরীরের জন্যতো খারাপ-ই।
আজ আমরা সবাই থাকলে ট্রেনে অনেক মজা হইতো। যেমনঃ নাচানাচি, ঝগড়া, এটা ওটা খাওয়া, গান বাজানো আরো কত কী... কিন্তু এর পরেও আমরা ২জন রাতে অনেক মজা করছি। যাওয়ার সময় এই স্টেশন ঐ স্টেশন থেকে এটা ওটা খাইতে খাইতে অবশেষে ১৯ তারিখ সকালে পৌছালাম চিটাগং শহরে। চিটাগং শহর থেকে গেলাম নতুন বিজ্র এলাকায়। সেখান থেকে কক্স বাজারের বাসে উঠবো। সেখান গিয়ে দেখলাম এমন এক ব্রিজ যা ছোট বেলায় ঘরের ক্যালেন্ডারে দেখতাম। হঠাৎ নস্টালজিক ফীল হলো।
চট্টগ্রাম নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে কক্স-বাজারের জন্য বাসে উঠতে হয়। সেই নতুন ব্রিজ এলাকার একটা হোটেলে বসে সকালে নাস্তার করার ঠিক আগ মহূর্তে এই ছবি তুলেছিলাম। হ্যা গেন্জির লোকটাও আমার ট্রাভেল মেট। এনাকে আমি অনেক ভালোবাসি। আমার প্রিয় একটা আ্যনিমে ক্যারেক্টর।
তো নতুন ব্রিজ থেকে সকালের নাস্তা শেষ করে অবশেষে রওনা দিলাম বাসে উঠে কক্স-বাজারের উদ্দেশ্য। ১৪১ কিলোমিটারের পথ😑। বাসে আমার বমি হয়। প্রায় ৭০ কিলোমিটার যাওয়ার পরে আমার বমি হওয়া শুরু।😪 কপাল ভালো বাসে পলিথিন ছিলো নইলে অনেক কষ্ট হতো। একবার বমি করলাম। অবশেষে দুপুর ২টায় গিয়ে পৌছালাম কক্সবাজারে। বাস থেকে একজন মহিলা আমার ব্যাগ চুরি করে নিয়ে গেছিলো। কপাল ভালো বাসের সুপারভাইজার আমার ব্যাগ চিনে ফেলছে তাই সে মহিলার থেকে আমার ব্যাগ এনে আমার হাতে দিয়ে দেয়। যদি ব্যাগ সেদিন চুরি হয়ে যেতো তাইলে আমার কক্সবাজারের ট্যুর-ই মাটি হয়ে যেতো। কপাল ভালো ছিলো সেদিন। কক্সবাজারে নামার আগে দেখতে পেলাম কক্স-বাজারে নির্মিত নতুন কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন। এখনো চালু হয়নি এই স্টেশন। তবে এই মাসেই চালু হবে শুনেছি।
তো আমরা যেহেতু ২ জন কক্স-বাজারে থাকবো ৩দিন ২রাত। তো হোটেল ভাড়া করা লাগবে। অবশেষে একটা ৩★ হোটেল ভাড়া করলাম ২ দিনের জন্য। নাহিদ অনেক এক্সপেরিয়েন্সড লোক। আরো কয়েকবার আসছে ও কক্সে। তাই আমার জন্য সুবিধা হলো। উঠলাম হোটেলে। ফ্রেশ হয়ে বিচে যাবো। কতটা ভালো লাগতেছিলো বলে বুঝানো যাবে না। আমরা ঘুড়বো সুগন্ধা বিচ, কলাতলি বিচ, আর হিমছড়ি বিচ। হিমছড়ি বিচের সাথে পাহাড় আছে সেখানেও যেতে পারতাম কিন্তু দিন ছোটো। রাতে পাহাড়ে যাওয়া যাবে না।
বিচ থেকে হোটেলে এসে রেস্ট নেয়ার সময়।
প্রথমদিনে সুগন্ধা বিচে গেলাম। আজকে বিচে গোসল করার কোনো ইচ্ছে নেই। বিচে গিয়ে দেখি এত পরিমানে মানুষ!!!🥶 আমরা গিয়েছি বিকেলে। বিকেল বেলা বিচ অনেক সুন্দর দেখা যায়।
-সুগন্ধা বিচ
আমার কাছে ছবি তুলতে ভাল্লাগে না কিন্তু বিচে গিয়ে ছবি না তুললে কেমন জানি দেখায়।
সোজা হয়ে দাড়াতেও পারি নাই। কোনো রকম খালি তুলে ফেলছি ছবি।
আমি আর নাহিদ বিকেল বেলার সুগন্ধা বিচে।
এই জায়গায় থাকলে যে কারো মন ফ্রেশ হয়ে যাবে। মন শান্ত হয়ে যাবে। একা একা পানিতে দাড়িয়ে থাকলে নিজেকে অন্য ভাবে চেনা যাবে অন্য ভাবে অনুভব করা যাবে। আমিতো প্রকৃতি অনেক ভালোবাসি তাই আমি অনুভব করতে পারি এটার অনুভূতি কেমন। আমি বার বার এই বিচে যাবো। নো মেটার হুয়াট। এখানে হাটাহাটি করতে করতে কখন সন্ধা হয়ে গেলো আমি বুঝতেই পারিনি। তখন সবাই সমুদ্র থেকে উঠে গেছে। স্পিড বোট গুলোও উঠে গেছে তাই অনেক ভালো লাগছিলো। শুধু পানির আওয়াজ পাচ্ছিলাম। কিছুক্ষন পর পর বড় বড় ঢেউ পায়ে এসে বারি দেয় আর কতটা যে ভালো লাগে তা বলে বুঝানো যাবে না বাস্তবে অনুভব না করলে।
সন্ধায় কক্স বাজার সৈকত
আমি আর নাহিদ প্রায় ২ ঘন্টা এভাবে এক বিচ থেকে আরেক বিচ হেটে বেড়িয়েছি রাত ১০ টা পর্যন্ত প্রায়। মাঝে মাঝে শামুক আর ঝিনুক কুড়িয়েছি। বড় বড় চ্যাপ্টা পাথর দিয়ে পানিতে ঢিল ছুড়েছি। আমার ফোনে আমার প্রিয় গান গুলো বাজতে ছিলো। উফস, আমার এখন মন চাইতেছে আবারো চলে যাই রাতের ট্রেনে। কিন্তু একা যাইলে ভালো লাগবে না। পরে চলে আসলাম বিচ থেকে। রাত ১০টার পরে ডিনার করে রেস্ট নিয়ে রাত ১টার সময় বিচে গেলাম আবার। রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ। রাত ১টার পরে বিচে গিয়ে যা দেখলাম তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না! এত বড় বড় ঢেউ আর ঢেউ এর এত বিশাল আওয়াজ,,,, আল্লাহ! আমি এই ঢেউ ফোনে ক্যাপচার করার চেষ্টা করেছি কিন্তু ভালো মত হয়নি। তবে নেক্সট টাইম ভালো মতই করবো।
মিডনাইট কক্স-বাজার বিচ
রাত ১টার পরে বিচ থেকে হোটেলে আসলাম। আর ফ্রেশ হয়ে শুয়ে তো আর ঘুম আসে না💔 পরে হঠাৎ করেই আমি আর নাহিদ তোলা দিলাম আমাদের ছোট বেলার কাহিনি আর স্কুলের কাহিনি। নাহিদ আমার প্রাইমারি স্কুলের বন্ধু। কিন্তু হাই স্কুলে আমরা অনেক বেশি মজা করছি যা কোনোদিন ভুলা যাবে না। আমার আজো কান্না পায় হাই স্কুলের স্মৃতি মনে হয় যখন। দেখতে দেখতে কখন জানি হাই স্কুল শেষ হয়ে গেলো। হাইস্কুল শেষ করেছি আজ ৫ বছরের বেশি হয়ে গেলো। একটা সত্যি কথা হলো, যখন আমরা হ্যাপি থাকি তখন সময় উড়ে চলে যায়।
যাইহোক, পরের দিন ঘুম থেকে উঠতেই বেলা ১২টা বেজে গেছে।😐 এখন তো অক্টোবর মাস। দিন ছোট। সকাল হওয়ার আগেই সন্ধ্যা এসে যায়। পরে খাওয়া দাওয়া করে চলে গেলাম বিচে। আজকে বিচে গোসল করবো। জীবনে প্রথম সমুদ্রে গোসল🥹! ভেতরে অন্যরকম এক্সাইটমেন্ট কাজ করতেছে। বিচে এতশত মানুষ। সবার সাথে গোসল। একটু পরে পরে বিশাল আকারের ঢেউ আসে আর গায়ে ঢেউ এর ধাক্কা লাগে। সবাই ঢেউ আসার জন্য অপেক্ষা করে। লবনাক্ত পানিতে চোখ লাল হয়ে যাচ্ছিলো কিন্তু জীবনের অন্যতম সময় পার করছি সেখানে গোসল করার সময়। কোনো ফোন নিয়ে যাওয়া হয়নি বিচে তাই গোসলের সময় ছবি তুলতে পারিনি। আবেগের মেমোরি!
২ ঘন্টা গোসল করে হোটেলে চলে গেলাম। দুপুরের খাবার শেষ করলাম আর রওনা দিলাম হিমছড়ি যাওয়ার জন্য। শান্ত সমুদ্র আর পানি। এযেনো এক জান্নাত সামনে। সেখানে পাহাড় আছে তবে সন্ধ্যা কাছিয়ে গেছে তাই আর পাহাড়ে উঠা হলো না। পরের বার উঠবো যদি আবার যাই। যাবোতো শিওর😚
কত সুন্দর রাস্তা! এত সুন্দর রাস্তা তো শুধু মাত্র সিলেটে গেলেই দেখা যায়। রাস্তার ছবি তো তোলা যায়নি। তোলার দরকারও পরেনি।
হিমছড়ি বিচে গিয়ে কিছু ছবি তুললাম। আমার তো DSLR Camera ভাড়া করে ছবি তোলার কোনো ইচ্ছা ছিলো না কিন্তু নাহিদ ভাড়া করে ফেলছে। আমার তো ফোনের ক্যামেরা হলেই চলে। কিন্তু আসলো ভালো ছবির জন্য ক্যামেরা ভালো।
ক্যামেরার ছবি
আমি আর নাহিদ
আমি তো মাথায় সেতি বানানো সাধারন একটা পুরুষ। হালকা একটু পোজ দেয়ার ট্রাই করছি। আমি একদমই পোজে টোজ দিতে পারি না।
আমার গেন্জিতে আমার সবচেয়ে প্রিয় অ্যানিমে ক্যারেক্টার মাস্টার জিরায়া এর হাসিমুখের ছবি লাগানো। আমি এই গেন্জিটা কাস্টম অর্ডার দিয়ে এনেছি ঘুড়তে যাওয়ার জন্যই।
ক্যামেরা ম্যান আমায় বলে দিচ্ছে আমার পা কিভাবে রেখে পোজ দিবো😂
অবশেষে হিমছড়িতে নেমে এলো সন্ধ্যাঃ
সন্ধ্যার হিমছড়ি
অবশেষে হিমছড়ি থেকে যাওয়ার পালা। আজকে রাতে আমাদের অনেক প্লান আছে। আজকে আমরা সী-ফুড খাবো। কক্সবাজারের বিভিন্ন খাবার খাবো। সবচেয়ে বেশি খেয়েছি মালাই চা😋 উপ্স স্বাদ ই আলাদা। একটু পরে পরেই খেয়েছি😍😂। হিমছড়ি থেকে হোটেলে গিয়ে কতক্ষন রেস্ট নিয়ে চলে গেলাম নুসরাত (ছোট বোন) আর শ্রাবন্তি (পাশের বাড়ির ভাতিজি)র জন্য কিছু কসমেটিক্স কেনার জন্য। এসবের মার্কেট ঘুড়েই প্রায় ২ ঘন্টা চলে গেছে। ভালোই লাগছে অনেক কিছু দেখলাম।
পরে গেলাম মাছ বাজারের কাছে। সেখানে গিয়ে কত জাতের মাছ যে দেখলাম🫥 কিন্তু এত কিছু খাওয়ার কি আর সাধ্য আছে এই গরিবের😂 এর পরে আবার বাজেট কম। আমার ইচ্ছা ছিলো টুনা মাছ বা অজানা একজাতের মাছ খাওয়ার। কিন্তু শেষে কি খাইলাম? 8 Tailes Beast অক্টোপাস🐙😂। ভালোই লাগছে খেয়ে কেমন জানি স্বাদ🫠। যাক নতুন এক্সপেরিয়েন্স হলো আর কোনোদিন খাবো না।
অক্টোপাস এর ভুনা নাকি কী এটা জানি না। তবে খাইছি ভালোই লাগছে।
পরে রাতে বিচে হাটাহাটি আর এটাওটা খাওয়া। এসব করতেই চলেগেলো আধারাত। পরে ঘুমের জন্য রেডি। আর ঘুমিয়ে গেলাম রুমে এসে। কালকে আবার ১১টার সময় হোটেল ছাড়তে হবে। এই নিয়ে ২বার আমি হোটেলে থাকলাম।
শেষদিনঃ
তারাতারি রেডি হয়ে হোটলে থেকে চ্যাক আউট করে চলে গেলাম কলাতলি বিচে। সেখানে গিয়ে ১ঘন্টার জন্য একটা বিচ সিট ভাড়া করলাম আর নাহিদ আর আমি পুরো ১ ঘন্টা বিচ উপভোগ করলাম। দুপুর ১ টার সময় আমাদের বাস। চলে আসলাম বাস স্টান্ড এ। এবার বমির ঔষধ খেয়ে নিছি, আর বমি হবে না।
শেষছবিঃ কলাতলি বিচ, কক্স-বাজার।
আমার কাছে ঘুড়তে অনেক ভাল্লাগে। কিন্তু টাকা নাই। আব্বারে যদি কই আব্বা জীবনেও ঘুড়তে যাওয়ার জন্য টাকা দিবে না। এখন সেলারি যা পাই তা দিয়ে ঘুড়লে ঘরে আর কি দিবো। তাও যাই হোক আমি নিজেরে টাইম দেয়ার চেষ্টা করি। এই যে এখন এটা লিখলাম, এটা আমার লিখতে হবেই যে বিষযয় টা এমন না। আমার খালি লিখতে ভাল্লাগে। আমার জীবনে কি করি না করি তা লিখতে ভাল্লাগে। কেনো এসব মনে রাখতে চাই আমি জানি না। হয়তো বা একদিন আমার ছেলে বা মেয়ে আমার এসব ডায়রি পড়বে আর মনে মনে ভাববে “আব্বা তো অনেক চিল করছে লাইফে”। হাহাহাহা,,, আরো কারন থাকতে পারে। আমি অনেক কিছু করতে চাই। আর করিও। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই না। এই যে এখন এটা, আমি ঘুড়তে গেছি গত মাসে। কিন্তু আজকে নভেম্বর মাসের ২০ তারিখ রাত ১ টা ১৯ মিনিট বাজে। আমার এখন ঘুমানো উচিত আর আমি স্পটিফাই ইংলিশ বাংলা গান লাগিয়ে নিজের জীবনের গল্প লিখতেছি। যা আমার আরো আগেই লিখা উচিত ছিলো।😂 আমি হয়তো বা নিজের জীবনটাকে মেমোরিবল বানাতে চাই যাতে করে বুড়া হয়ে এটা চিন্তা না করা লাগে “গায়ের রক্ত গরম থাকতে কোথাও যাইতে পারিনাই।”
হয়তোবা এভাবে আর কোনোদিন আমার জন্মদিন পালন করা হবে না। কোনো হবে না সেটাই বলবো আজ! আজ আমার বয়স ২১ বছর ২দিন চলছে। গত অগাষ্ট ২ তারিখ আমার ২১তম জন্মদিন গেলো। প্রতিবারের মত এবারেও নিজের জন্য গিফট করলাম। ভেবেছিলাম এবার আমি, রিদয়, আর এনামুল মিলে ঘুড়তে যাবো। কিন্তু রিদয় আর এনামুল ইন্ডিয়া নিয়ে বিজি আছে। ওরা চাইলেও যেতে পারবে না। তাই ১০ দিন আগেই ট্রেনের টিকিট কেটে আমি রেডি। আমি ছোট বেলা থেকেই ঘুড়তে যাওয়ার পাগল কিন্তু আব্বা আম্মা দিতো না ঘুড়তে যাওয়ার জন্য। কিন্তু আমার তো শখ রয়েই গেলো। তাই ঘুড়তে যাওয়ার নাম আসলেই আমি অনেক বেশি এক্সাইডেট হয়ে যাই। আমার রাতে ঘুম হয় না। নরমালি আমরা বন্ধুরা ঘুড়তে গেলে হঠাৎ রাত ৯টার পরে প্লান হয় কথার মধ্যে থেকেই। সাথে সাথে রাতের ট্রেনে বেড়িয়ে যাই বাড়ি থেকে ডেস্টিনেশানের উদ্দেশ্য। তো এবার অনেক দিন ওয়েট করা লাগছে তবুও ১০ দিন অপেক্ষার পরে চলে গেলাম রাতে উপবন এক্সপ্রেস দিয়ে ভৈরব থেকে সিলেটের উদ্দেশ্য। রিদয় আর এনামুল আমায় ভৈরবের ট্রেনে উঠিয়ে দেয়ার জন্য আমাদের স্টেশনে আসছে। পেছনে আখাওরা গামী তিতাস ট্রেন দাড়িয়ে আছে। ভৈরবে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতেছি। অবশে...
May 04, 2023 - May 06, 2023 OK, LET’S BE REAL! মানুষ ঘুড়তে যায় কেন? আত্মা, চোখ, শারিরীক রিলিফ, আর মানুষিক শান্তি পাওয়ার জন্য। আর আমি/আমরা (আমার টিম) জানেন কেনো ঘুড়তে যাই? যেনো একজন আরেকজনকে ঠিক মত গালাগাল, ইজ্জত নিয়া ছিনিমিনি খেলা, মারামারি, পরবর্তীতে ব্ল্যাকমেল করার জন্য খালি গায়ে ছবি তোলা, সব রকমের পোন্দাপুন্দি ও ইত্যাদি টাইপের কাজ করতে পারি। এক কথায়, টুরিস্ট ডেস্টিনেশানে গিয়ে যত মজা হয় আমরা নিজেরাই এরচেয়ে বেশি মজা করি। আমাদের কাছে টুরিস্ট ডেস্টিনেশান তো একটা দাড়ানোর মত জায়গা মাত্র। শান্তি পাওয়ার জন্য ট্যুরে গিয়ে বাড়ি এসে সেই অশান্তিতো ভুগা লাগে যে, “কোন হালায় জানি আমার কাপড় ছাড়া ছবি তুলে রাখছে”। আমি মনে করি এই ট্যুরে যা যা হয়েছে তা প্রতিটা ছেলের জীবনে একবার হলেও হওয়া উচিত। কারন, এখানে এমন কিছু বাদ নেই যা হয়নি। প্ল্যানঃ- দূর মিয়া, এটা কি নেটফ্লিক্স এর মানি হাইস্ট নাকি যে প্ল্যান বানামু? এই ট্যুরের কোনো প্ল্যান ছিলো না। আইলসা পুলাপান নিয়া কিয়ের আবার প্ল্যান? I had a whole day date with my girl. We went to so many places. so I was sooooo fuckking tired and বাড়িতে এসে ফ্যানের নিচে না...
Comments
Post a Comment